মসজিদে নৃশংসতা নিয়ে ইউরোপের নীরবতায় ক্ষুব্ধ এরদোয়ান

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক বন্দুকধারী নৃশংসতা চালিয়ে ৫০ মুসলিমকে হত্যা ও ৪৮ জনকে আহত করেছে।

নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে ভয়াবহ এই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর নীরবতার কড়া সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান।

আনাদুলু এজেন্সি খবর দিয়েছে, সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইউরোপ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হত্যাযজ্ঞ নিয়ে নীরব। আর পশ্চিমা গণমাধ্যম বিশ্বাসঘাতকতা করছে।’

ক্রাইস্টচার্চে আল-নূর ও লিনউড মসজিদে গত ১৫ মার্চ জুমার নামায পড়ার সময় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত বন্দুকধারী ব্রেনটন টারান্ট গুলি চালায়।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ইইউ কখনও আলোচনা বন্ধ করবে না। কারণ, তাদের তুরস্ককে প্রয়োজন।’

তুরস্ক ইইউ’র সদস্য হওয়ার জন্য ১৯৮৭ সালে আবেদন করে। এরপর ২০০৫ সাল থেকে সেটি তাদের আলোচনায় ওঠে। কিন্তু, সাইপ্রাস দ্বীপ নিয়ে গ্রিকের আপত্তিতে ২০০৭ সালে সে আলোচনা ভেস্তে যায়। গ্রিকের সঙ্গে জার্মানি এবং ফ্রান্সও তুরস্ককে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে।